কে বি এম কলেজ দিনাজপুর।
মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। সু-শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি সাধন করতে পারে না, তাই যুগোপযোগী, অর্থবহ ও কল্যাণমূখী শিক্ষার মাধ্যমে জাতির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ প্রেমিক, চরিত্রবান ও আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার মহান উদ্দেশ্য নিয়েই কে বি এম কলেজ এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নারী সমাজ ধর্মীয় গোঁড়ামীর অনুশাসনে অবরুদ্ধ থেকে শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত ছিল দীর্ঘদিন। তবে সময়ের বিবর্তনে বর্তমান শিক্ষা ক্ষেত্রে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। আর সে পরিবর্তনের ধারায় কিছু সংখ্যক শিক্ষা সচেতন ব্যক্তির উৎসাহ ও নিরলস প্রচেষ্টায় স্থানীয় এলাকাবাসীর আশা আকাংখার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি দিনাজপুর জেলার দক্ষিন দিকে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হলেও শিক্ষার গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষাদানে অনেকখানি এগিয়ে আছে।
আজ একবিংশ শতাব্দীর দ্বারে উপনীত হয়ে বিশ্বায়নের এই যুগে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির একটি সার্বজনীন ও বিশ্বব্যাপী পরিচিতি তুলে ধরা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব লাভের পর থেকেই বিষয়টি আমি অনুভব করতে থাকি। বিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেই। সেই প্রকল্পেরই একটি অংশ হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়টি মাথায় রেখে একটি উনয়নত ও যুগোপযোগী কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করি। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন তথ্য ওয়েব সাইটের সহায়তায় বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরে বসেই পরীক্ষার রুটিন, ফলাফল, ভর্তি ফরম পূরণ করছে। অভিভাবকরাও ঘরে বসে সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল পাচ্ছে। এই ওয়েব সাইটটিতে নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ের নানা তথ্য সংযোজন ও হালনাগাদ করা হচ্ছে। ওয়েব সাইটি চালুর সাথে সাথেই কলেজটি বিশ্বদরবারে আত্মপ্রকাশ লাভ করে এক নতুন মাইল ফলক স্থাপন করবে। এই শুভ পথ পরিক্রমায় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেইসব জানা-অজানা সুধীজনদের, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ভালোবাসার ফসল আজকের এই কে বি এম কলেজ। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং পরিচালনায় সর্বমহলের আন্তরিক সচেতনতা ও সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।